ছন্দ প্রকরণের গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন সমূহ
প্রশ্নঃ বাংলা কবিতায় ‘ছন্দের জাদুকর’ কে?
উত্তরঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তপ্রশ্নঃ সনেটের শেষ অংশকে কি বলে?
উত্তরঃ ষষ্টক
প্রশ্নঃ সনেটের ক’টি অংশ?
উত্তরঃ দুটি
প্রশ্নঃ ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’ কোন ছন্দ?
উত্তরঃ পয়ার
প্রশ্নঃ কোন কবি বাংল কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তককরেন?/অমিত্রাকষর ছন্দের প্রবর্তক হলেন
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্নঃ ‘পয়ার’ কোন ছন্দের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তরঃ অমিত্রাক্ষর
প্রশ্নঃ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি কয় মাত্রার?
উত্তরঃ ২
প্রশ্নঃ মাইকের মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেমের প্রবল প্রকাশ ঘটেছে-
উত্তরঃ সনেটে
প্রশ্নঃ “আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আসি ফিরে দুঃখ সুখের ঢেউ খেলানো এই সাগর তীরে।” কোন ছন্দে রচিত?
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
প্রশ্নঃ ছড়া কোন ছন্দে রচিত হয়?
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্নঃ ছেলে-ভুলানো ছড়াসমূহ সাধারণত কোন ছন্দে লেখা হয়?
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
প্রশ্নঃ ‘লৌকিক ছন্দ’ কাকে বলে?
উত্তরঃ স্বরবৃত্তকে
প্রশ্নঃ ‘ছন্দের যাদুকর’ কে ছিলেন?
উত্তরঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
প্রশ্নঃ বাংলা ছন্দ কত রকমের?
উত্তরঃ তিন রকমের
প্রশ্নঃ কোন কবি বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্নঃ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান শিব ঠাকুরের বিয়ে হলো তিন কন্যে দান’ -কোন ছন্দে রচিত?
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
প্রশ্নঃ ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো-
উত্তরঃ অন্ত্যমিল নেই
প্রশ্নঃ যে ছন্দে যুক্তধ্বনি সবসময় একমাত্রা হিসাবে গননা করা হয় তাকে কি ধরনের ছন্দ বলে?
উত্তরঃ অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
প্রশ্নঃ ‘আমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো-
উত্তরঃ অন্ত্যমিল নেই
প্রশ্নঃ স্বরাক্ষরিক ছন্দের প্রবর্তক কে
উত্তরঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
প্রশ্নঃ ধ্বনিপ্রধান ছন্দ বলা হয় কোন ছন্দকে?
উত্তরঃ মাত্রাবৃত্ত
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ কোন ছন্দকে চূড়ার ছন্দ বলেছেন?
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
প্রশ্নঃ স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা কত?
উত্তরঃ চার
প্রশ্নঃ কোন ছন্দে যুগ্মধ্বনি সব জায়গাতেই দুই মাত্রা হবে?
উত্তরঃ মাত্রাবৃত্ত
প্রশ্নঃ ‘সনেট’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে উৎপন্ন?
উত্তরঃ ইটালিয়ান
প্রশ্নঃ “খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে” কোন ছন্দে রচিত?
উত্তরঃ মাত্রাবৃত্ত
প্রশ্নঃ বাংলা ছন্দ প্রধানত কত প্রকার?
উত্তরঃ ৩
প্রশ্নঃ হৃদয়ের মাঝে মেঘ উদয় করি। নয়নের মাঝে ঝরিল বারি। -এখানে কি ধরনের অলঙ্কার এর প্রয়োগ হয়েছে?
উত্তরঃ অসঙ্গতি
প্রশ্নঃ যৌগিক ছন্দ বলা হয় কোন ছন্দকে?
উত্তরঃ অক্ষরবৃত্ত
প্রশ্নঃ ‘বঙ্গভাষা’ মাইকেল মধুসূদন দত্তের কোন ধরনের রচনা?
উত্তরঃ সনেট
প্রশ্নঃ যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
উত্তরঃ স্বরবৃত্ত
বাংলা সাহিত্যের ছন্দ
বাংলা ছন্দ প্রধানত তিন প্রকার যথা: স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।তাছাড়া মনে রাখবেনঃ
————————-
পয়ার ছন্দে- অন্ত্যমিল থাকে।
অমিত্রাক্ষর- অন্ত্যমিল নেই।
স্বরবৃত্ত ছন্দকে লৌকিক ছন্দ বলে।
মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে ধ্বনির প্রধান ছন্দ বলা হয়।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে তান প্রধান ছন্দ বলে।
ছড়া- স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত হয়।
ছন্দের প্রবর্তকঃ
——————
অমিত্রাক্ষর-মাইকেল মধুসূদন দত্ত
স্বরাক্ষরিক ছন্দের প্রর্বতক করেন-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
গদ্য ছন্দের প্রবর্তন করেন-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেন-কাজী নজরুল ইসলাম।
সমিল মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
——————————————-
কবি উপাধিঃ
—————
ছন্দের যাদুকর বলা হয় == সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে।
ছান্দসিক কবি বলা হয় == কবি আব্দুল কাদিরকে।
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত:
—————————–
১। তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
২। মেঘনাদবধ কাব্য- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৩। পদ্মাবতী(দ্বিতীয় অঙ্ক)- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৪। বীরাঙ্গনা কাব্য- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত:
—————————
১। বঙ্গভাষা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
২। তাহারেই পড়ে মনে- সুফিয়া কামাল
৩। একটি ফটোগ্রাফ(মুক্ত অক্ষরবৃত্ত)- শামসুর রহমান
৪। বাংলাদেশ- অমিয় চক্রবর্তী
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত:
————————-
১। চর্যাপদ- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী(আবিষ্কারক)
২। আঠারো বছর বয়স- সুকান্ত ভট্টাচার্য
৩। সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪। পাঞ্জেরী- ফররুখ আহমদ
৫। জীবন বন্দনা- কাজী নজরুল ইসলাম
৬। কবর- জসীমউদ্দিন
স্বরবৃত্তে ছন্দে রচিত:
————————-
১। বাংলা আমার- কায়কোবাদ
মিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত:
১। ব্রজাঙ্গনা কাব্য- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মিত্রাক্ষর ও অমিত্রাক্ষর উভয় ছন্দে রচিত:
১। চতুর্দশপদী কবিতাবলী- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গদ্যছন্দে রচিত:
১। আমার পূর্ব বাংলা- সৈয়দ আলী আহসান
কৃতজ্ঞতা >> Jafar Iqbal Ansary ভাই
বাংলা সাহিত্যের ছন্দ নিয়ে যত সব
১/ বাংলা ছন্দ প্রধানত = তিন প্রকার। যথাঃ স্বরবৃত্ত,মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।২/ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট রচনা করেন= মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
৩/ মাইকেল মধুসুদন দত্তের সর্বপ্রথম সনেট = বঙ্গভাষা।
৪. সনেটের প্রবর্তক = ইটালীর কবি পেত্রার্ক।
৫/ ধ্বনির প্রধান ছন্দ বলা হয = মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে।
৬/ ছন্দের যাদুকর কাকে বলা হয়= সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
৭/ স্বরাক্ষরিক ছন্দের প্রর্বতক করেন = সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
৮/ ছান্দসিক কবি বলা হয় = কবি আব্দুল কাদিরকে।
৯/ পয়ার ছন্দে থাকে = অন্তমিল।
১০/ লৌকিক ছন্দ কাকে বলে = স্বরবৃত্ত ছন্দকে।
১১/ গৈরিশ ছন্দের প্রবর্তন করেন = গিরিশচন্দ্র।
১২/ গদ্য ছন্দের প্রবর্তন করেন = সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৩/ তানপ্রধান ছন্দ বলে = অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে।
১৪/ মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেন = কাজী নজরুল ইসলাম।
১৫/ সমিল মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেন = রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্নাত্তরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত
০১। মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মসাল কোনটি ? = ১৮২৪ ।০২ ‘ The captive lady’কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা – = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
০৩। বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনা করেন কে ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
০৪। ‘ চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ কার লেখা ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
০৫। সনেটে কয়টি লাইন থাকে ? = ১৪ টি ।
০৬। সনেটের ক’টি অংশ ? = দু’টি
০৭। মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেমে তার কোন ধরনের সাহিত্যকর্মে প্রবলভাবে প্রকাশ লাভ করেছে ? = সনেটে ।
০৮। মধুসূদন দত্ত যে সাহিত্য রচনা করে অমর হয়ে রয়েছেন তা হলো = মেঘনাদ বধ কাব্য ।
০৯। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকাব্য কোনটি ? = মেঘনাদ ব্দকাব্য ।
১০। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য’প্রকৃত পক্ষে কোন রসের কাব্য ? = বীর রস
১১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকবি কে – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
১২। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ’কাব্যের কাহিনীর উৎস কি ?= রামায়ণ ।
১৩। প্রথম কোন মহিলা রামায়ণ রচনা করেন ? = চন্দ্রাবতী ।
১৪। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবর্তক ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
১৫। বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
১৬। অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট কি ? = অন্ত্যমিল নেই ।
১৭। ‘ একেই কি বলে সভ্যতা’ এটি মধুসূদন দত্তের কি জাতীয় রচনা ? = প্রহসন ।
১৮। ‘ বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ কার রচনা ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৯। নিম্নগ্রন্থগুলোর মধ্যে মধুসূদন দত্ত রচিত কোনটি ? = মায়াকানন ।
২০। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা’পত্রকাব্য ।
[ ২১। ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত’কোন শতাদ্বিতে জীবিত ছিলেন ? = উনবিংশ শতাব্দিত ।]
২২। মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্য হয় কোথা ?= আলিপুর হাসপাতালে ।
২৩। বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক – = কৃষ্ণকুমারী ।
২৪। প্রথম সার্থক বাংলা নাটক – = শর্মিষ্ঠা ।
২৫। মেঘনাদবধ কাব্যে যুদ্ধের সময় পশ্চিম দুয়ারে রক্ষক হিসেবে কে ছিল ? = বীর নীল ।
২৬। ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ কে লিখেছেন ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
২৭। ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ কোন জাতীয় শিল্পকর্ম ? = প্রহসন ।
২৮। সতত হে নদ’তুমি পড় মোর মনে । সতত তোমার কোথা ভাবি এ বিরলে । -চরণ দুটির কবি কে ? = মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
২৯। ‘হায়রে কোথা সে বিদ্যা;যে বিদ্যা বলে দূরে থাকি পার্থরথী তোমার চরণে’ । উদ্ধৃত চরণ দুটির কবি কে ?= মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
৩০। মধুসূদন খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হন – = ১৮৪৩ খ্রিঃ ।
৩১। মেঘনাদবধ কাব্য’ রচিত – = অমিত্রাক্ষর ছন্দে ।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন