পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়
1. নিরক্ষরেখা কাকে বলে?
উঃ সুমেরু বিন্দু ও কুমেরু বিন্দু থেকে সমান দূরে পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটি পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে, তাকে নিরক্ষরেখা বলে।
2. নিরক্ষরেখার মান কত?
উঃ শূন্য (০) ডিগ্রী।
3. নিরক্ষরেখার অপর নাম কী?
উঃ বিষুবরেখা।
4. কাকে কেন মহাবৃত্ত বলা হয়?
উঃ নিরক্ষরেখার কেন্দ্র এবং পৃথিবীর কেন্দ্র একই বিন্দু, ফলে রেখাটির কোণের মান শূন্য (০) ডিগ্রী। এজন্য রেখাটির নাম নিরক্ষরেখা। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুটি সমান গোলার্ধে ভাগ করে। এজন্য একমাত্র নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে।
5. অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের কোনো জায়গা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত একটি সোজা রেখা বা ব্যাসার্ধ টানলে ঐ রেখা নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ তৈরি করে সেই কোণই হল সেই জায়গার অক্ষাংশ।
6. কলকাতার অক্ষাংশ কত?
উঃ ২২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট উত্তর।
7. অক্ষরেখা কাকে বলে?
উঃ নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ভূ-পৃষ্ঠকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে থাকা সম-অক্ষাংশযুক্ত কাল্পনিক রেখাগুলিকে বলে অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখা।
8. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি কত?
উঃ ৩৬০ ডিগ্রী।
9. কর্কটক্রান্তি রেখা কী?
উঃ নিরক্ষরেখার উত্তরে ২৩ (সাড়ে ২৩) ডিগ্রী কৌণিক দুরত্বে অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটিকে বলে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।
10. মকরক্রান্তি রেখা কী?
উঃ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে ২৩.৫ (সাড়ে ২৩) ডিগ্রী কৌণিক দূরত্বে অঙ্কিত বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাটির নাম মরকক্রান্তি রেখা।
11. সুমেরু বৃত্ত কী?
উঃ নিরক্ষরেখার উত্তরে ৬৬.৫ (সাড়ে ৬৬) ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটির নাম সুমেরুবৃত্ত।
12. কুমেরু বৃত্ত কী?
উঃ নিরক্ষরেখার দক্ষিণ ৬৬.৫ (সাড়ে ৬৬) ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটির নাম সুমেরুবৃত্ত।
13. মূল মধ্যরেখা কোন শহরের উপর দিয়ে টানা হয়েছে?
উঃ গ্রীনিচ শহরের রয়াল অবসার্ভেটরী-র উপর দিয়ে।
14. মূলমধ্যরেখার মান কত?
উঃ শূন্য (০) ডিগ্রী।
15. দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে?
উঃ মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে বা পশ্চিমদিকে অবস্থিত কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ বলে।
16. দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?
উঃ সুমেরু বিন্দু থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত ভু-পৃষ্ঠের ওপর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত অর্ধ-বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাগুলিকে দ্রাঘিমারেখা বলে।
17. দ্রাঘিমারেখাকে দেশান্তর রেখা বলা হয় কেন?
উঃ দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে পূর্বে বা পশ্চিমে কোন দেশের অবস্থান নির্ণয় করা হয় বলে দ্রাঘিমারেখাকে দেশান্তর রেখাও বলে।
18. প্রত্যেকটি দ্রাঘিমার কোণের সমষ্টি কত?
উঃ ১৮০ ডিগ্রী।
19. কলকাতার দ্রাঘিমা কত?
উঃ ৮৮ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পূর্ব।
20. ১ ডিগ্রী দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উঃ ৪ মিনিট।
21. গ্রীনিচের দ্রাঘিমা কত?
উঃ শূন্য (০) ডিগ্রী।
22. ভারতের প্রামাণ্য দ্রাঘিমা কত?
উঃ ৮২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট।
23. আন্তর্জাতিক তারিখরেখার মান কত?
উঃ ১৮০ ডিগ্রী।
24. নিরক্ষরেখায় ১ ডিগ্রী অন্তর দুটি দ্রাঘিমারেখার রৈখিক ব্যবধান কত?
উঃ ১১৩•৩ কিমি।
25. মেরুপ্রদেশের কাছাকাছি স্থানসমূহের অক্ষাংশকে কী বলে?
উঃ উচ্চ অক্ষাংশ।
26. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি কত?
উঃ ৩৬০ ডিগ্রী।
27. মূল মধ্যরেখার দ্রাঘিমার মান কত?
উঃ শূন্য (০) ডিগ্রী।
28. গ্রীনিচ শহরের ওপর দিয়ে বিস্তৃত দ্রাঘিমারেখার নাম কী?
উঃ মূল মধ্যরেখা।
29. অক্ষরেখার আর এক নাম কী?
উঃ সমাক্ষরেখা।
30. সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ও সর্বোচ্চ অক্ষাংশ কত?
উঃ সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০ ডিগ্রী এবং সর্বোচ্চ অক্ষাংশ ৯০ ডিগ্রী।
31. কোন রেখাগুলি পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেস্টন করে আছে?
উঃ অক্ষরেখাগুলি।
32. শূন্য (০) ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখাটির নাম কী?
উঃ মূল মধ্যরেখা।
33. কোন জায়গার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয়?
উঃ এলাহাবাদের।
34. কলকাতা ও এলাহাবাদের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কত?
উঃ ২৪ মিনিট।
35. কোন স্থানের অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রী দক্ষিণ হলে ঐ স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ কত?
উঃ ৩০ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ।
36. ক্রনোমিটার কী?
উঃ বিশেষ ধরণের ঘড়ি। এই ঘড়ির মাধ্যমে গ্রীনিচের সময় জানা যায়।
37. কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কত?
উঃ ৯১ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পশ্চিম ।
38. কোন সমাক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে?
উঃ নিরক্ষরেখাকে।
39. কোন স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
উঃ ১২ ঘণ্টা।
40. উত্তর গোলার্ধের কোন স্থানে ধ্রুবতারার উন্নতি ৯০ ডিগ্রী ?
উঃ উত্তর গোলার্ধের সুমেরুতে।
41. কর্কটক্রান্তি রেখা ও সুমেরুবৃত্তের অক্ষাংশ কত?
উঃ কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ ২৩.৫ ডিগ্রী (সাড়ে ২৩ ডিগ্রী) উত্তর এবং সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ ৬৬.৫ ডিগ্রী (সাড়ে ৬৬ ডিগ্রী) উত্তর।
42. ভারতের প্রমাণ সময় নির্ণয়ের জন্য কোন দ্রাঘিমা নির্ধারিত হয়েছে?
উঃ ৮২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পূর্ব।
43. গ্রীনিচ সময় যন্ত্রের নাম কী?
উঃ ক্রনোমিটার।
44. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কাকে বলে?
উঃ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হল এমন একটি কাল্পনিক রেখা, যে রেখাটি মোটামুটিভাবে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে সুমেরু থেকে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত এবং যে রেখাটিকে সাধারণভাবে পৃথিবীর বার ও তারিখের শুরু ও শেষ হিসাবে ধরা হয়।
45. কোন প্রণালীর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কল্পনা করা হয়েছে?
উঃ বেরিং প্রণালীর মধ্যে দিয়ে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন