বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম
সফল শিক্ষার্থী শেষ পর্ব (পরীক্ষা)
ক্লাসে প্রথম হলে জীবনে প্রথম হওয়ার পথ হয় সহজ। আর ক্লাসে প্রথম হতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে বিজয়ীর বিশ্বাস নিয়ে। আনুসরণ করতে হবে কিছু সহজ-সরল টেকনিক। এ দুটোর অভাবেই অনেক পড়াশুনা সত্বেও পরীক্ষা খারাপ হয়। সফল শিক্ষার্থী পরীক্ষা পর্বে এ টেকনিকগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। টেকনিক গুলো আয়ত্ত করুন। বিজয়ীর বিশ্বাসে বলীয়ান হবেন আপনি। ক্লাসের শিরোপা শোভা পাবে আপনারই মাথায়।
পরীক্ষা মানে সুযোগ
পরীক্ষা মানে সুযোগ। কারন পরীক্ষা না থাকলে নিজের যোগ্যতাকে প্রমান করে উপরে উঠার পথ আপনি পেতেন না। পরীক্ষার জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়–ন, কিন্তু পরীক্ষাকে দেখুন মজার খেলা হিসেবে। নিজের উপর এ বিশ্বাস রাখুন যে, পরীক্ষার জন্য সৎভাবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাই যা ভাবছেন তার চেয়ে বেশিই জানেন আপনি। জয় আপনার সুনিশ্চিত। পরীক্ষা জীবন নয়, জীবনের একটা ক্ষুদ্র অংশমাত্র। একটা পরীক্ষা খারাপ হলেই জীবন বরবাদ হয়ে যায় না। খন্ডিত বা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাপ্তি সাফল্য নয়। সাফল্য বিশ্বাস ও যোগ্যতার সমম্বয়ে গঠিত মনের এক শক্তিশালী অবস্থা যা সবকিছু অর্জন করতে পারে।
প্রস্তুতি
প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে আগেই ধরণা রাখুন। বিগত বছর গুলোতে একাধিক বার এসেছে এমন প্রশগুলো গুরুত্ব দিন। মূল পরীক্ষার আগে মডেল প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষা দিন। পরীক্ষার রুটিন স্বচক্ষে দেখুন। আন্যেরা কেমন করছে এ নিয়ে ভাববেন না। আপনার যথাযথ প্রস্তুতির উপর। পরীক্ষার আগ মুহূর্ত হুড়মুড় করে সব রিভাইজ করতে যাবেন না। প্রস্তুতির ব্যাপারে (জানতে চাইলে) বলুন ’আলহামদুল্লিাহ! বেশ ভাল/আমি চেষ্টা করেছি। পরীক্ষার আগের রাতেই কলম-পেন্সিল ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুছিয়ে রাখুন।
যা করবেন না (প্রস্তুতি পর্বে)
’এত পড়া কখনো পড়বো না!’ ভাবতে ভাবতে সময় পার করা। ’আমি সব পারি-পরীক্ষার আগে একবার দেখলেই হবে’-বা ’বানিয়ে বানিয়ে লিখবো’ এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করা। এবার কোনো রকম ভাবে পরীক্ষাটা দেই,পরের বার ভাল করে পড়বো-সাšতনার এ ধরনের দুষ্টচক্র তৈরি করা। সাজেশন করে বেছে বেছে পড়া। পরীক্ষার আগের দিন পর্যšত শর্ট সাজেশনের অপেক্ষায় না পড়া। পরীক্ষার আগের দিনের জন্য পড়া ফেলে রাখা। সারা রাত জেগে পড়া। ’টার্ম ফাইনালে ভালো করবো’ ভেবে মিডটার্ম পরীক্ষায় অবহেলা করা।
উত্তর লেখার ক্ষেত্রে
হলে নিজের আসনে পরীক্ষার অšতত ১৫ মিনিট আগে বসুন। ৫ মিনিট মেডিটেশন/নীরব থাকুন। ভাবুন যা পড়েছি সব মনে আছে। প্রশ্ন পত্রের উভয় পৃষ্টা ভালোভাবে পড়–ন। নির্দেশনা গুলো খেয়াল করুন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ভাগ করে ফেলুন। বরাদ্দকৃত সময়ে শেষ না হলে ফাঁকা রেখে পরের প্রশ্নে চলে যান। জটিল প্রশ্নের উত্তর নয়, শুরু করুন সহজ এবং ভালভাবে জানা উত্তরটি দিয়ে। শেষ ১০/১৫ মিনিট খাতা রিভাইজ করুন। কোন প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে আসবেন না। কারন দুটি অর্ধেক উত্তর একটা সম্পূর্ণ উত্তরের চেয়ে বেশি নম্বর তুলবে। বাধ্যতামূলক না হলে জঠিল/সঠিক উত্তর জানা নেই এমন প্রশ্ন এড়িয়ে চলুন। প্রশ্নের উত্তর তিন ভাগে ভাগ করুন-ভুমিকা, মূল বক্তব্য ও উপসংহার। ভূমিকা এবং উপসংহার যতœ করে লিখুন। উত্তরে বৈচিত্র আনতে ডায়াগ্রাম, ছক, চিত্র ব্যবহার করুন। লেখক/বইয়ের কিছু শব্দ বা বাক্য উদ্ধৃত করুন। কোন প্রশ্নের উত্তরে কী জানতে চাওয়া হয়েছে তা বুঝে লিখুন। কোন অংশের জন্য কত নম্বর তা-ও দেখুন।
কোন প্রশ্নের উত্তর বা পয়েন্ট মনে করতে না পারলে ফাকা জায়গা রেখে পরবর্তী প্রশ্ন বা পয়েন্ট লিখতে থাকুন। খাতা জমা দেয়ার সময় নাম, রোল, রেজি. নম্বর, সেট কোড ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হোন। অতিরিক্ত কাগজ নিলে স্টেপলিং বা সুতোর গিঠ ঠিকভাবে দিন।
যা করবেন না (পরীক্ষার সময়)
আমি কিছু পড়ি নি/সব ভুলে গেছি/এবার ফেল করবো/অমুক প্রশ্নে ভূল করেছি এ জাতীয় কথা বলা। পরীক্ষার আগে এমন সহপাঠীদেও সাথে কথা বলা,যাদের প্রস্তুতি খারাপ বা যারা আতংকিত। কারণ আতংক সংক্রামক। উত্তর মেলানো,দেখাদেখি করা,খাতা দেখানোর জন্যে জোরাজুরি বা হুমকি দেয়া। বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় জটিল প্রশ্নের উত্তর করা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা জমা না দেয়া। ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নেই মনে করা।খারাপ হাতের লেখা। কারন উত্তর ভাল হলেও এতে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া যাবে না।
পরীক্ষার পর
ফলাফল খারাপ হওয়ার দায়ভার নিজে নিন। ভুলগুলো খুজে দেখুন, পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকুন। কাংক্ষিত ফলাফলের জন্য মনছবি দেখুন, প্রার্থনা ও দান করুন। একটি পরীক্ষা খারাপ হলে মুষড়ে পড়বেন না। পরের পরীক্ষা গুলো ভালোভাবে দিন। বিরতির দিনগুলো সৎ সঙ্ঘে কল্যাণকর ও ভালো কাজে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করুন।
ভাইভা
সহজ, প্রশান্ত মনে ভাইভায় অংশ নিন। শিক্ষকদের বিচারক না ভেবে সহযোগী ভাবুন। প্রশান্ত প্রত্যয়, নীরব প্রস্তুতি, বিনয় আর সাবলীল উপস্থাপনা শিক্ষকদের সপ্রশংস দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
দৈনন্দিন প্রত্যয়ন
সকল পরিস্থিতিতে সবসময় বলুন-’প্রভু! তোমাকে ধন্যবাদ। সবকিছুর জন্যেই আমি কৃতজ্ঞ। আমি একা নই। আমি বিশ্বাসী। স্রষ্টা আমার সাথে রয়েছেন। অতপর আমি বিজয়ী হব। পরীক্ষা চলাকালে আমি প্রশান্ত ও সজাগ থাকবো। প্রশান্ত মনে আত্নপ্রত্যয়ের সাথে প্রতিটি প্রশ্নের দ্রুত সঠিক উত্তর লিখবো। যা পড়েছি তা পরীক্ষার হলে বসে অনায়াসে মনে করবো। পরীক্ষার সময় অনায়াসে আমি আমার মেধার চমৎকার প্রয়োগ করবো। আমি সবসময় সুন্দর শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করে কথা বলবো। বিনয় ও ভালো ব্যবহার দিয়ে আমি সবাইকে জয় করবো। সহজ স্বতঃস্ফুর্ততায় প্রত্যয় ও সাহসের সঙ্গে আমি ভাইব বোর্ডেও মুখোমুখি হব। স্পষ্টভাবে বিনয়ের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবো। আমার সাবলীল, বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করবে। আমি সবসময় স্বতঃস্ফুর্তভাবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো। যে কোন অন্যায় কামনাকে আমি এখন অনায়াসে ’না’ বলবো। আত্মশুদ্ধির পথে আমি অটল থাকবো। ফলাফল নিয়ে আমি কখনো অস্থির হবো না। সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবো। আমি মুক্ত মনে নতুন জ্ঞান গ্রহ করতে পারি। নতুন জ্ঞান নিজের ও মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করবো। আমার মস্তিস্ক এক অনন্য সুপার জৈব কম্পিউটার। আমার সকল সাফল্যের নির্ভরযোগ্য সহযোগী।
Projuktite Kurigram Group of Bangladesh
এ.কে.এম মিজানুর রহমান মিজান
বি.এস.সি (অনার্স)
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।
Facebook: http://www.facebook.com/mizanur.cse
FB Group: http://www.fb.com/ ProjuktiteKurigram
Email: mizanurrahman1153@gmail.com, mizanur_cse@yahoo.com
যোগাযোগ : +৮৮০১৭২৫৮২১৯৩১
আপনি আপনার লক্ষ্যকে স্থির করুন, নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন, নিরলস কাজ করুন, আপনি সফল হবেন -এম রহমান ।।
সফল শিক্ষার্থী শেষ পর্ব (পরীক্ষা)
ক্লাসে প্রথম হলে জীবনে প্রথম হওয়ার পথ হয় সহজ। আর ক্লাসে প্রথম হতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে বিজয়ীর বিশ্বাস নিয়ে। আনুসরণ করতে হবে কিছু সহজ-সরল টেকনিক। এ দুটোর অভাবেই অনেক পড়াশুনা সত্বেও পরীক্ষা খারাপ হয়। সফল শিক্ষার্থী পরীক্ষা পর্বে এ টেকনিকগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। টেকনিক গুলো আয়ত্ত করুন। বিজয়ীর বিশ্বাসে বলীয়ান হবেন আপনি। ক্লাসের শিরোপা শোভা পাবে আপনারই মাথায়।
পরীক্ষা মানে সুযোগ
পরীক্ষা মানে সুযোগ। কারন পরীক্ষা না থাকলে নিজের যোগ্যতাকে প্রমান করে উপরে উঠার পথ আপনি পেতেন না। পরীক্ষার জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়–ন, কিন্তু পরীক্ষাকে দেখুন মজার খেলা হিসেবে। নিজের উপর এ বিশ্বাস রাখুন যে, পরীক্ষার জন্য সৎভাবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাই যা ভাবছেন তার চেয়ে বেশিই জানেন আপনি। জয় আপনার সুনিশ্চিত। পরীক্ষা জীবন নয়, জীবনের একটা ক্ষুদ্র অংশমাত্র। একটা পরীক্ষা খারাপ হলেই জীবন বরবাদ হয়ে যায় না। খন্ডিত বা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাপ্তি সাফল্য নয়। সাফল্য বিশ্বাস ও যোগ্যতার সমম্বয়ে গঠিত মনের এক শক্তিশালী অবস্থা যা সবকিছু অর্জন করতে পারে।
প্রস্তুতি
প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে আগেই ধরণা রাখুন। বিগত বছর গুলোতে একাধিক বার এসেছে এমন প্রশগুলো গুরুত্ব দিন। মূল পরীক্ষার আগে মডেল প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষা দিন। পরীক্ষার রুটিন স্বচক্ষে দেখুন। আন্যেরা কেমন করছে এ নিয়ে ভাববেন না। আপনার যথাযথ প্রস্তুতির উপর। পরীক্ষার আগ মুহূর্ত হুড়মুড় করে সব রিভাইজ করতে যাবেন না। প্রস্তুতির ব্যাপারে (জানতে চাইলে) বলুন ’আলহামদুল্লিাহ! বেশ ভাল/আমি চেষ্টা করেছি। পরীক্ষার আগের রাতেই কলম-পেন্সিল ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুছিয়ে রাখুন।
যা করবেন না (প্রস্তুতি পর্বে)
’এত পড়া কখনো পড়বো না!’ ভাবতে ভাবতে সময় পার করা। ’আমি সব পারি-পরীক্ষার আগে একবার দেখলেই হবে’-বা ’বানিয়ে বানিয়ে লিখবো’ এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করা। এবার কোনো রকম ভাবে পরীক্ষাটা দেই,পরের বার ভাল করে পড়বো-সাšতনার এ ধরনের দুষ্টচক্র তৈরি করা। সাজেশন করে বেছে বেছে পড়া। পরীক্ষার আগের দিন পর্যšত শর্ট সাজেশনের অপেক্ষায় না পড়া। পরীক্ষার আগের দিনের জন্য পড়া ফেলে রাখা। সারা রাত জেগে পড়া। ’টার্ম ফাইনালে ভালো করবো’ ভেবে মিডটার্ম পরীক্ষায় অবহেলা করা।
উত্তর লেখার ক্ষেত্রে
হলে নিজের আসনে পরীক্ষার অšতত ১৫ মিনিট আগে বসুন। ৫ মিনিট মেডিটেশন/নীরব থাকুন। ভাবুন যা পড়েছি সব মনে আছে। প্রশ্ন পত্রের উভয় পৃষ্টা ভালোভাবে পড়–ন। নির্দেশনা গুলো খেয়াল করুন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ভাগ করে ফেলুন। বরাদ্দকৃত সময়ে শেষ না হলে ফাঁকা রেখে পরের প্রশ্নে চলে যান। জটিল প্রশ্নের উত্তর নয়, শুরু করুন সহজ এবং ভালভাবে জানা উত্তরটি দিয়ে। শেষ ১০/১৫ মিনিট খাতা রিভাইজ করুন। কোন প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে আসবেন না। কারন দুটি অর্ধেক উত্তর একটা সম্পূর্ণ উত্তরের চেয়ে বেশি নম্বর তুলবে। বাধ্যতামূলক না হলে জঠিল/সঠিক উত্তর জানা নেই এমন প্রশ্ন এড়িয়ে চলুন। প্রশ্নের উত্তর তিন ভাগে ভাগ করুন-ভুমিকা, মূল বক্তব্য ও উপসংহার। ভূমিকা এবং উপসংহার যতœ করে লিখুন। উত্তরে বৈচিত্র আনতে ডায়াগ্রাম, ছক, চিত্র ব্যবহার করুন। লেখক/বইয়ের কিছু শব্দ বা বাক্য উদ্ধৃত করুন। কোন প্রশ্নের উত্তরে কী জানতে চাওয়া হয়েছে তা বুঝে লিখুন। কোন অংশের জন্য কত নম্বর তা-ও দেখুন।
কোন প্রশ্নের উত্তর বা পয়েন্ট মনে করতে না পারলে ফাকা জায়গা রেখে পরবর্তী প্রশ্ন বা পয়েন্ট লিখতে থাকুন। খাতা জমা দেয়ার সময় নাম, রোল, রেজি. নম্বর, সেট কোড ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হোন। অতিরিক্ত কাগজ নিলে স্টেপলিং বা সুতোর গিঠ ঠিকভাবে দিন।
যা করবেন না (পরীক্ষার সময়)
আমি কিছু পড়ি নি/সব ভুলে গেছি/এবার ফেল করবো/অমুক প্রশ্নে ভূল করেছি এ জাতীয় কথা বলা। পরীক্ষার আগে এমন সহপাঠীদেও সাথে কথা বলা,যাদের প্রস্তুতি খারাপ বা যারা আতংকিত। কারণ আতংক সংক্রামক। উত্তর মেলানো,দেখাদেখি করা,খাতা দেখানোর জন্যে জোরাজুরি বা হুমকি দেয়া। বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় জটিল প্রশ্নের উত্তর করা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা জমা না দেয়া। ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নেই মনে করা।খারাপ হাতের লেখা। কারন উত্তর ভাল হলেও এতে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া যাবে না।
পরীক্ষার পর
ফলাফল খারাপ হওয়ার দায়ভার নিজে নিন। ভুলগুলো খুজে দেখুন, পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকুন। কাংক্ষিত ফলাফলের জন্য মনছবি দেখুন, প্রার্থনা ও দান করুন। একটি পরীক্ষা খারাপ হলে মুষড়ে পড়বেন না। পরের পরীক্ষা গুলো ভালোভাবে দিন। বিরতির দিনগুলো সৎ সঙ্ঘে কল্যাণকর ও ভালো কাজে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করুন।
ভাইভা
সহজ, প্রশান্ত মনে ভাইভায় অংশ নিন। শিক্ষকদের বিচারক না ভেবে সহযোগী ভাবুন। প্রশান্ত প্রত্যয়, নীরব প্রস্তুতি, বিনয় আর সাবলীল উপস্থাপনা শিক্ষকদের সপ্রশংস দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
দৈনন্দিন প্রত্যয়ন
সকল পরিস্থিতিতে সবসময় বলুন-’প্রভু! তোমাকে ধন্যবাদ। সবকিছুর জন্যেই আমি কৃতজ্ঞ। আমি একা নই। আমি বিশ্বাসী। স্রষ্টা আমার সাথে রয়েছেন। অতপর আমি বিজয়ী হব। পরীক্ষা চলাকালে আমি প্রশান্ত ও সজাগ থাকবো। প্রশান্ত মনে আত্নপ্রত্যয়ের সাথে প্রতিটি প্রশ্নের দ্রুত সঠিক উত্তর লিখবো। যা পড়েছি তা পরীক্ষার হলে বসে অনায়াসে মনে করবো। পরীক্ষার সময় অনায়াসে আমি আমার মেধার চমৎকার প্রয়োগ করবো। আমি সবসময় সুন্দর শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করে কথা বলবো। বিনয় ও ভালো ব্যবহার দিয়ে আমি সবাইকে জয় করবো। সহজ স্বতঃস্ফুর্ততায় প্রত্যয় ও সাহসের সঙ্গে আমি ভাইব বোর্ডেও মুখোমুখি হব। স্পষ্টভাবে বিনয়ের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবো। আমার সাবলীল, বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করবে। আমি সবসময় স্বতঃস্ফুর্তভাবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো। যে কোন অন্যায় কামনাকে আমি এখন অনায়াসে ’না’ বলবো। আত্মশুদ্ধির পথে আমি অটল থাকবো। ফলাফল নিয়ে আমি কখনো অস্থির হবো না। সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবো। আমি মুক্ত মনে নতুন জ্ঞান গ্রহ করতে পারি। নতুন জ্ঞান নিজের ও মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করবো। আমার মস্তিস্ক এক অনন্য সুপার জৈব কম্পিউটার। আমার সকল সাফল্যের নির্ভরযোগ্য সহযোগী।
Projuktite Kurigram Group of Bangladesh
এ.কে.এম মিজানুর রহমান মিজান
বি.এস.সি (অনার্স)
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।
Facebook: http://www.facebook.com/mizanur.cse
FB Group: http://www.fb.com/ ProjuktiteKurigram
Email: mizanurrahman1153@gmail.com, mizanur_cse@yahoo.com
যোগাযোগ : +৮৮০১৭২৫৮২১৯৩১
আপনি আপনার লক্ষ্যকে স্থির করুন, নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন, নিরলস কাজ করুন, আপনি সফল হবেন -এম রহমান ।।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন