সফল শিক্ষার্থী পর্ব ০১ (সাফল্যের ভিত্তি)
আলোকিত সফল জীবনের ভিত্তি শিক্ষা। শিক্ষাক্ষেত্রে সফল হলে জীবনে সাফল্যের সিঁড়ি পরিণত হয় দ্রুতগতির লিফটে। সফল শিক্ষার্থীর সাফল্যের ভিত্তি পর্বে এ প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ পর্বের সুত্রগুলো অনুসরণ করলে যে কোন সাধারণ মানের শিক্ষার্থীই ক্লাসে প্রথম হতে পারেন, পা রাখতে পারেন সাফল্যের লিফটে।
ভিত্তি ১ : বিশ্বাস
নিজের শক্তি ও সামর্থ্যওে প্রতি আস্থা রাখুন। বিশ্বাস করুন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্লাসে ১ম হওয়ার যোগ্যতা ও গুনাবলি আপনার আছে। ভালো রেজাল্টের জন্য জিনিয়াস নয়, সাধারণ মানের ছাত্র-ছাত্রী হওয়াই যথেষ্ট। কারণ অসাধারণ প্রতিভা-মেধার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো রেজাল্টের বিশেষ প্রক্রিয়া ও কৌশল অনুসরণ। কে কী বলছে না বলছে তা চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি নিজের সম্পর্কে কী ভাবছেন। প্রথম মানুষ পরাজিত তার নিজের কাছেই। নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করুন। বিশ্বাসকে কর্মে পরিণত করুন। শূণ্যতা পরিনত হবে পূর্ণতায়।
ভিত্তি ২ : লক্ষ্য
ক্লাসে ১ম হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করুন। কারন ক্লাসে ১ম বা ভালো রেজাল্ট এমন এক অর্জন যা আপনাকে দিবে স্বীকৃতি, গ্রহণযোগ্যতা ও নতুন সম্ভাবনার সহজ সুযোগ। জীবনে ১ম হওয়াও সহজ হবে আপনার জন্য। সাফল্য মানে শুধু অর্থ-বিত্ত খ্যাতি বা ক্ষমতা নয়, সাফল্য মানে কল্যাণকর সবকিছু পাওয়া বা করার সামর্থ্য। লক্ষ্য অর্জনের জন্য আšতরিক ভাবে পরিশ্রম করুন। প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজ, ছোট ছোট অর্জনের মধ্য দিয়ে রচিত হয় বড় অর্জনের ভিত্তি।
ভিত্তি ৩ : দৃষ্টিভঙ্গি
আপনার কী নেই বা কি কি আপনি পাবেন না তা নিয়ে হা হুতাস না করে যা যা আপনি পাবেন তা নিয়ে শুরু করুন। পারিপাশ্বিক প্রতিকুলতা নয়, আপনার ব্যর্থতার মূল কারণ অšতর্গত উদ্যমহীনতা। প্রতিকুলতাকে গ্রহন করুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রতিকূলতা জয়ের চেষ্টা আপনার শক্তি-ধৈয্য-দক্ষতাকে সমৃদ্ধ করবে। সাময়িক ব্যর্থতায় ভেঙ্গে না পড়ে ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিন। পরিস্থিতিকে গ্রহন করুন ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে। শুধু ভাল রেজাল্ট ধারী নয়, ভাল ছাত্র তিনিই যিনি চৌকস দক্ষ্য, নৈতিক ও মানবিক শক্তিতে উজ্জিবিত, আকর্ষনের কেন্দ্র্রবিন্দু, অন্যদের ভরসাস্থল।
ভিত্তি ৪: কৌশল
নিজ আগ্রহ ও মেধার সামর্থ্য অনুসারে পাঠ্য বিষয় নির্বাচন করুন, হুজুগের বশে বা অন্যদের দেখাদেখি নয়। সুস্থ প্রতিযোগিতা করুন, ঈর্ষাম্বিত হবেন না। খেলা বা পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বীর বিজয়ে অভিনন্দন জানান। শিক্ষকের সাথে যুক্তিসঙ্গত সু-সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে আপনার পরার আগ্রহ এবং মান বারবে। নিজের সম্ভাবনা নষ্ট করে অন্যের উপকার করতে যাবেন না। কারন নিজে সফল না হলে আপনি কখনই কারো উপকার করতে পারবেন না। স্রেফ বিনোদন নয়, টিভিকে কাজে লাগান জানার মাধ্যম হিসেবে। বিশেষ কোন প্রোগ্রাম দেখার জন্য সময় ঠিক করে নিন। বইয়ের জ্ঞানের পাশাপাশি বা¯তব জ্ঞান অর্জনে উদ্যোগী হোন। বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করুন, ধারাণা রাখুন। কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে অর্জন করুন চুড়াšত জ্ঞান। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই আত্ম উন্নয়ন মূলুক বই পড়–ন। তবে এমন কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনাকে বিভ্রান্ত ও নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করবে। জেদ বা অভিমান না করে যে কোন যুক্তি-সঙ্গত বিষয়ে মা-বাবা-অভিভাবককে বোঝান মমতা ও শ্রদ্ধার ভাষা দিয়ে। সাফল্যের পর উচ্ছুসিত নয়, শোকর গোজার হোন। পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিন।
ভিত্তি ৫ : বন্ধুত্ব/সঙ্গ
ছাত্র জীবনে প্রেম, আড্ডা ও অসৎ সঙ্গ সাফল্যের সম্বাবনাকে ধ্বংস করে দেয়। এই ধ্বংসাত্মক আবেগ থেকে নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত রাখুন। গ্রুপ স্টাডির নামে অহেতুক আড্ডা বা সময় নষ্টের চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। সহপাঠী মানেই বন্ধু নয়। সুসম্পর্ক থাকবে সবার সাথে,কিন্তু বন্ধুত্ব হবে তাদের সাথে যাদের জীবন চেতনা ও লক্ষ্যের সাথে আপনার মিল রয়েছে। মেধাবী, সহানুভূতিশীল, সু-স্বাস্থ্য ও স্ন্দুর ব্যক্তিত্বের অধিকারীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। তারাই হবে আপনার জ্ঞান, উদ্যম ও আনন্দের উৎস। সবসময় সৎ সঙ্গে থাকুন। সৎ চেতনায় সঙ্ঘবদ্ধ মানুষই জীবনে প্রথম হয়।
এ অভ্যাসগুলো বর্জন করুন
বিলাসী সহপাঠীদের অনুসরণ করা, উগ্র ও অশালীন পোশাকে ক্লাসে আসা। মেডিয়া বা শোবিজ তারকাদের বেশভূষা, লাইভ স্টাইল, আচরন অনুকরণ করা। লেখাপড়ার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনুষঙ্গিক বিষয়কে (ক্লাব/বিতর্ক/খেলাধুলা) বেশি প্রাধান্য দেয়া। অভিভাবকের সঙ্গে অভিমান করে পড়াশুনা না করা। স্টাডি পার্টনার বা শিক্ষকের অপেক্ষায় পড়া ফেলে রাখা। নিরিবিলি পরিবেশ ছাড়া পড়া হয় না- এ অজুহাত দেয়া। ভাল প্রতিষ্ঠান কিংবা বিষয়ে পড়তে না পারলে ছাত্র জীবন ব্যর্থ মনে করা।
দৈনন্দিন প্রত্যয়ন
[ নিজের ওপর আস্থার প্রকাশ আত্মপ্রত্যয়ন। ধ্যানের ¯তরে বা স্বাভাবিক জাগ্রত অবস্থায় সুযোগ পেলেই মনে মনে বার বার প্রতায়ন করুন। সাফল্য আসবে সফল স্বতঃস্ফুর্ততায় ]। রাগ-ক্ষোপ-অভিমান অন্যের চেয়ে নিজের ক্ষতিই করে বেশি। আমি সবসময় এসব থেকে দুরে থাকবো। আমি প্রতিদিন আত্মপর্যালোচনা করেছি। ভুলগুলো শুধরে আমার ব্যক্তিত¦ ও কাজ হয়ে উঠেছে সুন্দরও থেকে সুন্দরতর। আমি ভাল ছাত্র। কৌতুহল ও শেখার আগ্রহ নিয়ে আমি সব কিছুকে দেখেছি। ফলে সাধারণত সচারচর বিষয় থেকেও শিখেছি। আমি বা¯তববাদী ও কর্মমূখী। ভুল বা ব্যর্ততার ছাই থেকেও আমি খুজে নিতে পারি নতুন সম্ভাবনার রতœ। সাফল্য বিঘœকারী কোনো সম্পর্কে আমার প্রয়োজন নেই। নেতিবাচক, অলস, অসদচারী ও লক্ষ্যহীন সঙ্গী থেকে আমি দূরে থাকবো। ব্যর্থতা অভিমান ও অভিযোগ করে আর সফলরা সমাধানের জন্যে কাজে লাগায় সাহস,বুদ্ধি ও শ্রম। আমি সফল হিসেবে নিজেকে প্রমান করবো। আমার প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ আমারই হাতে। টিভি, মোবাইল, গেমস বা যে কোন আসক্তিকে আমি অনায়াসে ’না’ বলতে পারি। আমি প্রো-অ্যাকটিভ। অন্যের নেতিবাচক কথা, মšতব্য ও আচরণের প্রভাব থেকে নিজেকে সবসময় মুক্ত রাখবো। আমি সবসময় সঙ্গবদ্ধ থাকবো। সৎসঙ্গের ছায়ায় আমার মেধা পুরোপুরি বিকশিত হবে।
Projuktite Kurigram Group of Bangladesh
এ.কে.এম মিজানুর রহমান মিজান
বি.এস.সি (অনার্স)
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।
Facebook: http://www.facebook.com/mizanur.cse
FB Group: http://www.fb.com/ ProjuktiteKurigram
Email: mizanurrahman1153@gmail.com, mizanur_cse@yahoo.com
যোগাযোগ : +৮৮০১৭২৫৮২১৯৩১
”তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থানা কর” আল-কুরআন ।।
“Seek Help in Steadfastness and Prayer” Al-Quran ||
আলোকিত সফল জীবনের ভিত্তি শিক্ষা। শিক্ষাক্ষেত্রে সফল হলে জীবনে সাফল্যের সিঁড়ি পরিণত হয় দ্রুতগতির লিফটে। সফল শিক্ষার্থীর সাফল্যের ভিত্তি পর্বে এ প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ পর্বের সুত্রগুলো অনুসরণ করলে যে কোন সাধারণ মানের শিক্ষার্থীই ক্লাসে প্রথম হতে পারেন, পা রাখতে পারেন সাফল্যের লিফটে।
ভিত্তি ১ : বিশ্বাস
নিজের শক্তি ও সামর্থ্যওে প্রতি আস্থা রাখুন। বিশ্বাস করুন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্লাসে ১ম হওয়ার যোগ্যতা ও গুনাবলি আপনার আছে। ভালো রেজাল্টের জন্য জিনিয়াস নয়, সাধারণ মানের ছাত্র-ছাত্রী হওয়াই যথেষ্ট। কারণ অসাধারণ প্রতিভা-মেধার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো রেজাল্টের বিশেষ প্রক্রিয়া ও কৌশল অনুসরণ। কে কী বলছে না বলছে তা চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি নিজের সম্পর্কে কী ভাবছেন। প্রথম মানুষ পরাজিত তার নিজের কাছেই। নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করুন। বিশ্বাসকে কর্মে পরিণত করুন। শূণ্যতা পরিনত হবে পূর্ণতায়।
ভিত্তি ২ : লক্ষ্য
ক্লাসে ১ম হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করুন। কারন ক্লাসে ১ম বা ভালো রেজাল্ট এমন এক অর্জন যা আপনাকে দিবে স্বীকৃতি, গ্রহণযোগ্যতা ও নতুন সম্ভাবনার সহজ সুযোগ। জীবনে ১ম হওয়াও সহজ হবে আপনার জন্য। সাফল্য মানে শুধু অর্থ-বিত্ত খ্যাতি বা ক্ষমতা নয়, সাফল্য মানে কল্যাণকর সবকিছু পাওয়া বা করার সামর্থ্য। লক্ষ্য অর্জনের জন্য আšতরিক ভাবে পরিশ্রম করুন। প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজ, ছোট ছোট অর্জনের মধ্য দিয়ে রচিত হয় বড় অর্জনের ভিত্তি।
ভিত্তি ৩ : দৃষ্টিভঙ্গি
আপনার কী নেই বা কি কি আপনি পাবেন না তা নিয়ে হা হুতাস না করে যা যা আপনি পাবেন তা নিয়ে শুরু করুন। পারিপাশ্বিক প্রতিকুলতা নয়, আপনার ব্যর্থতার মূল কারণ অšতর্গত উদ্যমহীনতা। প্রতিকুলতাকে গ্রহন করুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রতিকূলতা জয়ের চেষ্টা আপনার শক্তি-ধৈয্য-দক্ষতাকে সমৃদ্ধ করবে। সাময়িক ব্যর্থতায় ভেঙ্গে না পড়ে ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিন। পরিস্থিতিকে গ্রহন করুন ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে। শুধু ভাল রেজাল্ট ধারী নয়, ভাল ছাত্র তিনিই যিনি চৌকস দক্ষ্য, নৈতিক ও মানবিক শক্তিতে উজ্জিবিত, আকর্ষনের কেন্দ্র্রবিন্দু, অন্যদের ভরসাস্থল।
ভিত্তি ৪: কৌশল
নিজ আগ্রহ ও মেধার সামর্থ্য অনুসারে পাঠ্য বিষয় নির্বাচন করুন, হুজুগের বশে বা অন্যদের দেখাদেখি নয়। সুস্থ প্রতিযোগিতা করুন, ঈর্ষাম্বিত হবেন না। খেলা বা পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বীর বিজয়ে অভিনন্দন জানান। শিক্ষকের সাথে যুক্তিসঙ্গত সু-সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে আপনার পরার আগ্রহ এবং মান বারবে। নিজের সম্ভাবনা নষ্ট করে অন্যের উপকার করতে যাবেন না। কারন নিজে সফল না হলে আপনি কখনই কারো উপকার করতে পারবেন না। স্রেফ বিনোদন নয়, টিভিকে কাজে লাগান জানার মাধ্যম হিসেবে। বিশেষ কোন প্রোগ্রাম দেখার জন্য সময় ঠিক করে নিন। বইয়ের জ্ঞানের পাশাপাশি বা¯তব জ্ঞান অর্জনে উদ্যোগী হোন। বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করুন, ধারাণা রাখুন। কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে অর্জন করুন চুড়াšত জ্ঞান। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই আত্ম উন্নয়ন মূলুক বই পড়–ন। তবে এমন কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনাকে বিভ্রান্ত ও নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করবে। জেদ বা অভিমান না করে যে কোন যুক্তি-সঙ্গত বিষয়ে মা-বাবা-অভিভাবককে বোঝান মমতা ও শ্রদ্ধার ভাষা দিয়ে। সাফল্যের পর উচ্ছুসিত নয়, শোকর গোজার হোন। পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিন।
ভিত্তি ৫ : বন্ধুত্ব/সঙ্গ
ছাত্র জীবনে প্রেম, আড্ডা ও অসৎ সঙ্গ সাফল্যের সম্বাবনাকে ধ্বংস করে দেয়। এই ধ্বংসাত্মক আবেগ থেকে নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত রাখুন। গ্রুপ স্টাডির নামে অহেতুক আড্ডা বা সময় নষ্টের চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। সহপাঠী মানেই বন্ধু নয়। সুসম্পর্ক থাকবে সবার সাথে,কিন্তু বন্ধুত্ব হবে তাদের সাথে যাদের জীবন চেতনা ও লক্ষ্যের সাথে আপনার মিল রয়েছে। মেধাবী, সহানুভূতিশীল, সু-স্বাস্থ্য ও স্ন্দুর ব্যক্তিত্বের অধিকারীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। তারাই হবে আপনার জ্ঞান, উদ্যম ও আনন্দের উৎস। সবসময় সৎ সঙ্গে থাকুন। সৎ চেতনায় সঙ্ঘবদ্ধ মানুষই জীবনে প্রথম হয়।
এ অভ্যাসগুলো বর্জন করুন
বিলাসী সহপাঠীদের অনুসরণ করা, উগ্র ও অশালীন পোশাকে ক্লাসে আসা। মেডিয়া বা শোবিজ তারকাদের বেশভূষা, লাইভ স্টাইল, আচরন অনুকরণ করা। লেখাপড়ার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনুষঙ্গিক বিষয়কে (ক্লাব/বিতর্ক/খেলাধুলা) বেশি প্রাধান্য দেয়া। অভিভাবকের সঙ্গে অভিমান করে পড়াশুনা না করা। স্টাডি পার্টনার বা শিক্ষকের অপেক্ষায় পড়া ফেলে রাখা। নিরিবিলি পরিবেশ ছাড়া পড়া হয় না- এ অজুহাত দেয়া। ভাল প্রতিষ্ঠান কিংবা বিষয়ে পড়তে না পারলে ছাত্র জীবন ব্যর্থ মনে করা।
দৈনন্দিন প্রত্যয়ন
[ নিজের ওপর আস্থার প্রকাশ আত্মপ্রত্যয়ন। ধ্যানের ¯তরে বা স্বাভাবিক জাগ্রত অবস্থায় সুযোগ পেলেই মনে মনে বার বার প্রতায়ন করুন। সাফল্য আসবে সফল স্বতঃস্ফুর্ততায় ]। রাগ-ক্ষোপ-অভিমান অন্যের চেয়ে নিজের ক্ষতিই করে বেশি। আমি সবসময় এসব থেকে দুরে থাকবো। আমি প্রতিদিন আত্মপর্যালোচনা করেছি। ভুলগুলো শুধরে আমার ব্যক্তিত¦ ও কাজ হয়ে উঠেছে সুন্দরও থেকে সুন্দরতর। আমি ভাল ছাত্র। কৌতুহল ও শেখার আগ্রহ নিয়ে আমি সব কিছুকে দেখেছি। ফলে সাধারণত সচারচর বিষয় থেকেও শিখেছি। আমি বা¯তববাদী ও কর্মমূখী। ভুল বা ব্যর্ততার ছাই থেকেও আমি খুজে নিতে পারি নতুন সম্ভাবনার রতœ। সাফল্য বিঘœকারী কোনো সম্পর্কে আমার প্রয়োজন নেই। নেতিবাচক, অলস, অসদচারী ও লক্ষ্যহীন সঙ্গী থেকে আমি দূরে থাকবো। ব্যর্থতা অভিমান ও অভিযোগ করে আর সফলরা সমাধানের জন্যে কাজে লাগায় সাহস,বুদ্ধি ও শ্রম। আমি সফল হিসেবে নিজেকে প্রমান করবো। আমার প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ আমারই হাতে। টিভি, মোবাইল, গেমস বা যে কোন আসক্তিকে আমি অনায়াসে ’না’ বলতে পারি। আমি প্রো-অ্যাকটিভ। অন্যের নেতিবাচক কথা, মšতব্য ও আচরণের প্রভাব থেকে নিজেকে সবসময় মুক্ত রাখবো। আমি সবসময় সঙ্গবদ্ধ থাকবো। সৎসঙ্গের ছায়ায় আমার মেধা পুরোপুরি বিকশিত হবে।
Projuktite Kurigram Group of Bangladesh
এ.কে.এম মিজানুর রহমান মিজান
বি.এস.সি (অনার্স)
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।
Facebook: http://www.facebook.com/mizanur.cse
FB Group: http://www.fb.com/ ProjuktiteKurigram
Email: mizanurrahman1153@gmail.com, mizanur_cse@yahoo.com
যোগাযোগ : +৮৮০১৭২৫৮২১৯৩১
”তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থানা কর” আল-কুরআন ।।
“Seek Help in Steadfastness and Prayer” Al-Quran ||

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন